Wellcome to National Portal
জাতীয় মহিলা সংস্থা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪

জাতীয় মহিলা সংস্থার ইতিহাস

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মায়েরা-মেয়েরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তারা সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। তারা নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদিচ্ছা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত মহিলাদের পুণর্বাসনের জন্য ‘নারী পুণর্বাসন বোর্ড’ স্থাপিত হয়। বোর্ডের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৭৪ সালে সংসদের একটি এ্যাক্ট-এর মাধ্যমে এই বোর্ডকে বৃহত্তর কলেবরে পুণর্গঠন করে ‘নারী পুর্ণবাসন কল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করা হয়। বর্তমান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিসটির ভূমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বরাদ্দ দেন। 

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ‘নারী বর্ষ’ ঘোষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ্ব নারীবর্ষ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ড: নীলিমা ইব্রাহীমের নের্তৃত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা পরিষদ ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন নারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় প্রস্ত্ততি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনের প্রস্ত্তুতি কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব এবং ১৯৭৫ সালে জুলাই মাসে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলনে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী সমাজের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে। এই সম্মেলনে ‘নারী দশক’ হিসেবে ঘোষণার প্রেক্ষাপটে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে নারী অধিকারের বিষয়গুলি উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নে সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের প্রতিফলনের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী করার জন্য সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সংস্থার কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসূ ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৪ঠা মে তারিখে ৯ নং আইন বলে জাতীয় মহিলা সংস্থাকে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে রূপদান করা হয়।